কালাঘাড় বেনেবউ | Black naped Oriole | Oriolus chinensis

136
কালাঘাড় বেনেবউ
কালাঘাড় বেনেবউ | ছবি: ইন্টারনেট

কালাঘাড় বেনেবউ এর বৈশ্বিক বিস্তৃৃৃতি মিয়ানমার, উত্তর-পূর্ব চীন, উত্তর ভিয়েতনাম, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড। শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রাকৃতিক আবাসস্থল মিশ্র পর্ণমোচী এবং চিরহরিত্বর্ণ। বেশির ভাগই জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। স্বভাবে লাজুক। আড়ালে অবডালে থাকতে পছন্দ করে।

পাখির বাংলা নামঃ কালাঘাড় বেনেবউ, ইংরেজি নামঃ ব্লাক ন্যাপেড ওরিয়োল, (Black-naped Oriole)| বৈজ্ঞানিক নামঃ Oriolus chinensis |

আরো পড়ুন…
•তামাটে লাল বেনেবউ •সোনালি বেনেবউ •সরুঠোঁট বেনেবউ

প্রজনন মৌসুমে পুরুষ পাখি আড়ালে থেকে মিষ্টিকণ্ঠে নিচু সুরে গান গায়। ক্ষিদে পেলে ওদের বাচ্চারাও মিষ্টি সুরে কাঁদে। বড়ই করুণ সেই সুর। প্রজাতি লম্বায় ২৩-২৬ সেন্টিমিটার। ওজন ৬৫-১০০ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারায় তফাৎ নেই খুব একটা। পুরুষ পাখির মাথার তালু হলুদ। চোখের দুপাশ থেকে চওড়া মোটা টান ঘাড়ে ঠেকেছে। দেহের অধিকাংশ পালকই উজ্জ্বল হলুদ। কেবল ডানার মাঝামাঝি থেকে লেজের উপরিভাগের পালক কালো। গোলাপি-লাল রঙের ঠোঁটটি সোজা, ত্রিভুজাকৃতির। স্ত্রী পাখির বর্ণ একটু ভিন্ন। দেহের উপরের দিকের পালক সবুজাভ হলদে। পায়ের রঙ সিসে। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের রঙ ভিন্ন। গলা থেকে নিচের দিকে হলুদের সঙ্গে কালো খাড়া রেখা।

প্রধান খাবারঃ পোকামাকড়, ফুলের মধু ও ছোট ফল। প্রজনন সময় মে থেকে মধ্য জুন পর্যন্ত। অঞ্চলভেদে ভিন্ন। গাছের উঁচু ডালে খড়কুটা দিয়ে দোলনা আকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৩-১৫ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথা সাহিত্যিক, কলাম লেখক, পাখি ও বন্যপ্রাণী বিশারদ এবং পরিবেশবিদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog