কাদা বাটান পান্থ পরিযায়ী (চলার পথের পরিযায়ী) পাখি। আমাদের দেশে আসে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিদায় নেয় মার্চের মধ্যেই। বিচরণ করে উপকূলীয় বেলাভূমিতে। ওড়ার সময় তীক্ষস্বরে চেঁচিয়ে ওঠে, ‘টই…এপ, উইই-উইই-এট’ সুরে। সুরে ডাকাডাকি করে। মাঝেমধ্যে হাওয়ায় ভর করে ঢেউয়ের মতো করে উড়ে বেড়ায়। স্বভাবে শান্ত। একাকী কিংবা ছোট দলে বিচরণ করে। অন্য প্রজাতির সৈকতচারী পাখিদের সঙ্গেও বিচরণ করতে দেখা যায়। ভাটার সময় নরম কাদার ওপর ছোটাছুটি করে জলজ পোকামাকড় খায়।
এ প্রজাতির বাংলা নামঃ কাদা বাটান ইংরেজি নামঃ ডানলিন (Dunlin), বৈজ্ঞানিক নামঃ Calidris alpina | গোত্রের নাম: স্কোলোপাসিদি| এরা ‘বাঁকাঠোঁট চা পাখি’ নামেও পরিচিত।
আরো পড়ুন…
•শুক্তিভোজী বাটান
•পদ্মবাটান
•লাল নুড়িবাটান
•কাঁকড়াভোজী বাটান
•কালোবুক বাটান
•ছোট বাবুইবাটান
•গুলিন্দা বাটান
•পাতি বাটান
এ পাখি লম্বায় ১৭-২১ সেন্টিমিটার। মাথা ও ঘাড় থেকে বুক পর্যন্ত গাঢ় বাদামি রেখা দেখা যায়। চোখের ভ্রূ সাদাটে। পিঠের পালক ধূসর-বাদামির ওপর কালো ছোপ। বুক ধূসর। বুকের নিচের দিকটা সাদা। প্রজনন মৌসুমে কোন কোনটার পিঠ লালচে-বাদামি এবং পেটের দিকে বড়সড়ো কালো ছোপ দেখা যায়। নিতম্বের মাঝ বরাবর কালো, দু’পাশ সাদা। ঠোঁট কালো, নিচের দিকে সামান্য বাঁকানো। পা খাটো, কালো। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম।
প্রধান খাবারঃ পোকামাকড়, শুককীট ইত্যাদি। প্রজনন সময় এপ্রিল থেকে জুলাই। বাসা বাঁধে তুন্দ্রাঞ্চলের তৃণভূমিতে। ডিম পাড়ে ৩-৪টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ২০-২২ দিন। শাবক স্বাবলম্বী হয় ১৫-২০ দিনের মধ্যেই।
লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।