ছোট তুর্কী বাজ | Eurasian Sparrowhawk | Accipiter nisus

360
ছোট তুর্কী বাজ
ছোট তুর্কী বাজ | ছবি: ইন্টারনেট

ছোট তুর্কী বাজ এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি উত্তর ইউরোপ, পূর্ব-দক্ষিণ আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল। শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে বাংলাদেশ ও ভারতে। প্রজনন মৌসুমে নিজ বাসভূমে চলে যায়। স্বভাবে হিংস ; দেখতেও। ছোট পাখিদের যম। ‘কেক কেক কেক’ সুরে ইনিয়ে-বিনিয়ে ডাকাডাকি করে। অনেক উঁচুতে উঠতে পারে। উড়ে উড়ে শিকার খোঁজে। একাকী কিংবা জোড়ায় জোড়ায় বিচরণ করে। শিকার নাগাল পেলে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।

পাখির বাংলা নামঃ ছোট তুর্কী বাজ, ইংরেজি নামঃ ইউরেশিয়ান স্পারোহাউক (Eurasian Sparrowhawk), বৈজ্ঞানিক নামঃ Accipiter nisus | এরা ‘ইউরেশীয় চড়–ই শিকারে’ নামেও পরিচিত।

আরো পড়ুন…
•বেসরা বাজ •বড় বাজ •তুরমুতি বাজ •লম্বা পা বাজপাখি
•বাজপাখি •সাদাচোখ বিশিষ্ট বাজ •ছোট তুর্কী বাজ •তিলা বাজ
•বড় বাজা •আগুনে বাজপাখি •পাতি শিকারি বাজ

স্ত্রী-পুরুষ পাখির গায়ের রঙে এবং আকারে তফাৎ রয়েছে। পুরুষ পাখির দৈর্ঘ্য ২৯-৩৪ সেন্টিমিটার। প্রসারিত পাখা ৬০-৭৫ সেন্টিমিটার। ওজন ১১০-১৯৫ গ্রাম। স্ত্রী পাখির দৈর্ঘ্য ৩৫-৪১ সেন্টিমিটার। ওজন ১৮৫-৩৪২ গ্রাম। পুরুষ পাখির মাথা, ঘাড়, পিঠ ও ডানা নীলাভ-ধূসর। ডানার প্রান্ত পালক ও লেজ কালচে। দেহতল সাদার সঙ্গে লালচে-বাদামি আড়াআড়ি রেখা। গলা থুতনির তুলনায় পেটের দিকে এ রেখা বেশি পরীক্ষিত হয়। অপরদিকে স্ত্রী পাখির পেটের দিকের রেখা গাঢ় লালচে-বাদামি। উভয়ের ঠোঁট খাটো, নীলাভ, বড়শির মতো বাঁকানো। পা লম্বা। যুবাদের রঙ ভিন্ন।

প্রধান খাবারঃ চড়–ই পাখি, কবুতরসহ অন্যান্য ছোট পাখি, সরীসৃপ, ইঁদুর ইত্যাদি। সুযোগ পেলে ছোট খরগোশও শিকার করে। প্রজনন মৌসুম আগস্টের দিকে। বৃক্ষের উঁচু শাখায় ছোট ছোট ডালপালা দিয়ে বাসা বাঁধে। বিশেষ করে কাঁটা গাছের ডালে বাসা বাঁধতে পছন্দ করে। ডিম পাড়ে ৪-৬টি। ফুটতে সময় লাগে ৩২-৩৪ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথা সাহিত্যিক, কলাম লেখক, পাখি ও বন্যপ্রাণী বিশারদ এবং পরিবেশবিদ।