বেসরা বাজ দেখতে চমৎকার। স্লিম গড়ন। বাজ প্রজাতির পাখি। স্বভাবে তত হিংস না হলেও শিকার ধরার প্রয়োজনে কিছুটা রুক্ষতা দেখায় বটে। ভালো পোষ মানে। পোষা বাজকে খাঁচায় বন্দির প্রয়োজন পড়ে না। পালনকর্তার নির্দেশে এদিক-সেদিক ওড়াউড়ি করে। দূর থেকে ইশরায় হাতছানি দিয়ে ডাকলে অথবা শব্দ করলে হাতে এসে বসে। বুনো বাজ শিকারে বের হয় একাকী। মাঝে মধ্যে জোড়ায় জোড়ায়ও দেখা যায়। প্রাকৃতিক আবাসস্থল চিরহরিৎ বন, ঘন বন। বিশেষ করে পতঙ্গ আছে এমন বনে বিচরণ আধিক্য। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, দক্ষিণ চীন, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত। বিশ্বে এদের অবস্থান মোটামুটি সন্তোষজনক।
পাখির বাংলা নামঃ বেসরা বাজ, ইংরেজি নামঃ Besra Sparrowhawak বৈজ্ঞানিক নামঃ Accipiter virgatus |
আরো পড়ুন…
•ছোট তুর্কী বাজ
•বেসরা বাজ
•তুরমুতি বাজ
•লম্বা পা বাজপাখি
•বাজপাখি
•সাদাচোখ বিশিষ্ট বাজ
•ছোট তুর্কী বাজ
•তিলা বাজ
•বড় বাজা
•আগুনে বাজপাখি
•পাতি শিকারি বাজ
প্রজাতির দৈর্ঘ্য ২৫-৩৫ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ পাখির রঙে সামান্য তফাৎ রয়েছে। আকারে স্ত্রী পাখি খানিকটা বড়। পুরুষ পাখির মাথা, ঘাড়, পিঠ গাঢ় নীল-ধূসর। ডানার প্রান্ত পালক কালো। লেজ নীল-ধূসরের সঙ্গে ধূসর-সাদা ডোরা। দেহের তুলনায় লেজ লম্বা। দেহতল লালচে-সাদা মিশ্রণ। অপরদিকে স্ত্রী পাখির ওপরের পালক গাঢ় বাদামী। উভয়ের ঠোঁট খাটো নীলচে কালো। পা সরু, হলদেটে।
প্রধান খাবারঃ বড় পোকামাকড়, ছোট পাখি, ব্যাঙ, সরীসৃপ ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম মার্চ-জুন। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। চিকন ডালপালা দিয়ে উঁচু গাছের ডালে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২-৫টি। ফুটতে সময় লাগে ৩০-৩৫ দিন।
লেখকঃ আলম শাইন। কথা সাহিত্যিক, কলাম লেখক, পাখি ও বন্যপ্রাণী বিশারদ এবং পরিবেশবিদ।