লালতলা প্রিনা | Rufous vented Prinia | Prinia burnesii

305
লালতলা প্রিনা
লালতলা প্রিনা | ছবি: ইন্টারনেট

মেটেবুক প্রিনা নিয়ে গত সংখ্যায় লিখেছি। আজ ওদের জ্ঞাতি ভাই লালতলা প্রিনা নিয়ে লিখছি। উভয়ই স্থানীয় প্রজাতির পাখি। স্লিম গড়ন। মায়াবী চেহারার। তবে লালতলা প্রিনা আকারে খানিকটা বড়। স্বভাবে চঞ্চল। কণ্ঠস্বর তত সুমধুর নয়। বাদবাকি আচরণ মেটেবুক প্রিনার মতো। তবে এদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি ভিন্ন। বাংলাদেশ ব্যতীত ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল।

পাখির বাংলা নামঃ লালতলা প্রিনা, ইংরেজি নামঃ রুফাস ভেন্টেড প্রিনিয়া (Rufous-vented Prinia), বৈজ্ঞানিক নামঃ Prinia burnesii | এরা ‘জলাভূমির লেজ-তোলা টুনি’ নামেও পরিচিত।

আরো পড়ুন…
•সুন্দরী প্রিনা •মেটেবুক প্রিনা •হলদেপেট প্রিনা
•কালচে প্রিনা •নিরল প্রিনা

প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ১৭ সেন্টিমিটার। ওজন ১৯ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন হলেও পুরুষ পাখির রঙে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। পুরুষ পাখি গাঢ় বাদামী রঙের। স্ত্রী পাখি হালকা বাদামি। উভয়ের লেজ লম্বা, কালচে বাদামি। লেজতল লালচে। দেহতল বাদামি-সাদা। ঠোঁট খাটো, জলপাই কালচে। চোখ বাদামি। পা ও পায়ের পাতা হলুদাভ ত্বক বর্ণের। প্রজনন পালক ভিন্ন।

প্রধান খাবারঃ কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়। প্রজনন মৌসুম আগস্ট-সেপ্টেম্বর। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। ভূমি থেকে এক-দেড় মিটার উঁচুতে গাছেরপাতা পেঁচিয়ে কাপ আকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৪টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১০-১১ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।