তুরমুতি বাজ এদের ঊষা এবং গোধূলীলগ্ন শিকারের উপযুক্ত সময়। এ সময় এদের বেশির ভাগকেই জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। তবে একাকী, জোড়ায় কিংবা ছোটদলেও বিচরণ করে। মূলত ছোট পাখি এদের প্রধান শিকার। এছাড়াও এরা বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপ শিকার করে। প্রজাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল খোলা মাঠপ্রান্তর, খোলা বনাঞ্চল। শিকারি পাখি হলেও স্বভাবে হিংস নয়। বৈশ্বিক বিস্তৃৃতি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ইরান ও আফ্রিকা পর্যন্ত। বিশ্বে এদের অবস্থান তত সন্তোষজনক না হলে হুমকি নয়।
পাখির বাংলা নামঃ তুরমুতি বাজ । ইংরেজি নামঃ রেড-নেকেড ফ্যালকন, (Red-necked falcon)। বৈজ্ঞানিক নামঃ Falco chicquera। এরা ‘লালমাথা শিকারি বাজ’ নামেও পরিচিত।
আরো পড়ুন…
•ছোট তুর্কী বাজ
•বেসরা বাজ
•বড় বাজ
•লম্বা পা বাজপাখি
•বাজপাখি
•সাদাচোখ বিশিষ্ট বাজ
•ছোট তুর্কী বাজ
•তিলা বাজ
•বড় বাজা
•আগুনে বাজপাখি
•পাতি শিকারি বাজ
প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ৩০-৩৬ সেন্টিমিটার। প্রসারিত ডানা ৭০-৮৫ সেন্টিমিটার। পুরুষ পাখির ওজন ১৪০-১৬০ গ্রাম। স্ত্রী পাখির ওজন ১৯০-২৫০ গ্রাম। পুরুষের তুলনায় স্ত্রী পাখি আকারে খানিকটা বড়। এদের মাথা ও ঘাড় বাদামী লাল। পিঠ ও লেজ গাঢ় ধূসর। তবে ডানা এবং লেজের প্রান্ত পালক কালচে। গলা ও বুক সাদা। বুকের নিচ থেকে সাদার ওপর কালো ডোরা। চোখের বলয় উজ্জ্বল হলুদ, মনি কালো। ঠোঁটের অগ্রভাগ কালচে বাঁকানো, গোড়া কমলা হলুদ। পা উজ্জ্বল হলুদ।
প্রধান খাবারঃ ছোট পাখি ও ছোট সরীসৃপ। প্রজনন মৌসুম জানুয়ারি থেকে মার্চ। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। গাছের উঁচু ডালে চিকন ডালপালা দিয়ে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২-৪টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ৩২-৩৪ দিন।
লেখকঃ আলম শাইন। কথা সাহিত্যিক, কলাম লেখক, পাখি ও বন্যপ্রাণী বিশারদ এবং পরিবেশবিদ।