সাদাটুপি লালগির্দি | White capped Redstart | Chaimarrornis leucocephalus

653
সাদাটুপি লালগির্দি
সাদাটুপি লালগির্দি | ছবি: ইন্টারনেট

দোয়েল আকৃতির পাখি সাদাটুপি লালগির্দি । দেখতে ভারি সুন্দর। প্রাকৃতিক আবাসস্থল হিমায়িত বনাঞ্চল। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও তিব্বত পর্যন্ত। দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। নিজস্ব বাসভূমে প্রজনন ঘটায়। গানের গলা ভালো। ফুর্তিবাজ পাখি। লেজ উঁচিয়ে ফুর্তি করে। জলস্রোতের কাছাকাছি এবং পাথুরে এলাকায় বিচরণ আধিক্য। বেশির ভাগই একাকী বিচরণ করে। বিশ্বে এদের অবস্থান সন্তোষজনক হলেও দেশে যত্রতত্র দেখা মেলে না।

এ পাখির বাংলা নামঃ সাদাটুপি লালগির্দি। ইংরেজি নামঃ হোয়াইট-ক্যাপিড রিডস্টার্ট, (White-capped Redstart), বৈজ্ঞানিক নামঃ Chaimarrornis leucocephalus | এরা ‘ধলাটুপি পানগির্দি’ নামেও পরিচিত।

আরো পড়ুন…
•সাদাডানা লালগির্দি •নীলচে লালগির্দি
•কালো লালগির্দি •নীলকপালি গির্দি

এ প্রজাতি দৈর্ঘ্যে ১৮-১৯ সেন্টিমিটার। ওজন ২৪-৪২ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন। তবে পুরুষ পাখি আকারে বড়। কপাল নীলচে কালো। মাথা ধবধবে সাদা; টুপি আকৃতির। ঘাড় ও পিঠ নীলচে কালো। ডানা কালো। কোমর ও লেজ কমলা লাল। লেজের প্রান্ত পালক কালো। গলা কুচকুচে কালো। বুকের নিচ থেকে লেজতল টকটকে লাল। চোখ ও ঠোঁট নীলচে কালো। পা কালচে।

প্রধান খাবারঃ পোকামাকড়, পিঁপড়া, মাছি, ছোট কাঁকড়া মাঝে মধ্যে শস্য বা ঘাস বীজ খেতে দেখা যায়। প্রজনন মৌসুম মে থেকে জুলাই। অঞ্চলভেদে প্রজননের হেরফের রয়েছে। নদীর কাছাকাছি গাছপালায় বাসা বাঁধে। বাসা কাপ আকৃতির। উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে শুকনো ঘাস, সরু লতাপাতা, পশুর চুল। ডিম পাড়ে ৩-৫টি।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।