নীলচে লালগির্দি এদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও চীন পর্যন্ত। হিমালয়ের দুই হাজার মিটার উচ্চতায়ও এদের দেখা যাওয়ার নজির রয়েছে। দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। নিজস্ব বাসভূমে প্রজনন ঘটায়। প্রাকৃতিক আবাসস্থল ছায়াময় বৃক্ষ, নদীর কাছাকাছি গাছপালা। দ্রুত দৌড়াতে পারে, থেমে থেমে লেজ প্রসারিত করে। ময়ূরের পেখমমেলার মতো লাগে তখন। পুরুষ পাখির আছে আকর্ষণীয় রূপ। সেই তুলনায় স্ত্রী পাখি অনেকটাই নিষ্প্রভ। প্রজাতিটি বিশ্বব্যাপী হুমকি না হলেও বছর দশক ধরে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
পাখির বাংলা নামঃ নীলচে লালগির্দি, ইংরেজি নামঃ প্লামবিয়াস ওয়াটার রেডস্টার্ট (Plumbeous Water Redstart) | বৈজ্ঞানিক নামঃ Rhyacornis fuliginosa | এরা নীল পানগির্দি নামেও পরিচিত।
আরো পড়ুন…
•সাদাডানা লালগির্দি
•সাদাটুপি লালগির্দি
•কালো লালগির্দি
•নীলকপালি গির্দি
প্রজাতির দৈর্ঘ্যে ১২-১৩ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা ভিন্ন। পুরুষ পাখির মাথা ধূসর নীল। ঘাড় ও পিঠ গাঢ় নীল। ডানা বাদামি লাল। কোমর ও লেজ পাকা মরিচের মতো টকটকে লাল। গলা গাঢ় নীল। বুকের নিচ থেকে বস্তিপ্রদেশের কাছাকাছি ধূসর নীল। চোখ ও ঠোঁট নীলচে কালো। পা ময়লা বাদামি। স্ত্রী পাখি ধূসর নীল। মাঝে মাঝে সাদা ছিট দেখা যায়। লেজের লাল অনুপস্থিতি। নিষ্প্রভ চেহারা। এদের
প্রধান খাবারঃ পোকামাকড়, পিঁপড়া, মাছি, বীজ ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম মার্চ-জুন। অঞ্চলভেদে প্রজননের হেরফের রয়েছে। বাসা কাপ আকৃতির। বাসা বাঁধার উপকরণ শুকনো ঘাস, সরু লতাপাতা। ডিম পাড়ে দু-চারটি।
লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।