লালগলা দামা | Red throated Thrush | Turdus ruficollis

439
লালগলা দামা
লালগলা দামা | ছবি: ইন্টারনেট

লালগলা দামা এদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, হিমালয় অঞ্চল, উত্তর পাকিস্তান, বার্মা, চীন, তিব্বত, আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, মঙ্গোলিয়া, ইরান, ইরাক পর্যন্ত। দেখতে কিছুটা কাঠশালিকের মতো। লাফিয়ে হাঁটে। সতর্ক চলাফেরা। স্বভাবে লাজুক। গোসল করে নিয়মিত। বেশির ভাগই একাকী বিচরণ করে। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। মাঝে মাঝে ফলদ গাছেও দেখা যায়। ছোট ছোট ফলের প্রতি আসক্তি রয়েছে। গানের গলা বেশ ভালো। মিষ্টি সুরে গান গায়। এদের গড় দৈর্ঘ্য ২২-২৪ সেন্টিমিটার। ওজন ৯৫ থেকে ১০০ গ্রাম। ভূচর পাখি লালগলা দামা। শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে। 

বাংলা নামঃ লালগলা দামা, ইংরেজি নামঃ রেড থ্রোটেড থ্রাস (Red throated Thrush), বৈজ্ঞানিক নামঃ Turdus ruficollis |

আরও পড়ুন…
•কমলাদামা •নীল শিলাদামা •কালচে দামা
•ধূসর দামা •ধূসর ডানা কালো দামা •সাদাভ্রু দামা
•লম্বাঠোঁটি দামা •কালোবুক দামা •সাদাঘাড় কালো দামা

স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা ভিন্ন। পুরুষ পাখির মাথা, ঘাড় ও পিঠ ধূসর-বাদামি। লেজ গাঢ় বাদামি। ডানা বাদামি ধূসর। গলা লাল বাদামি। দেহতল সাদা। লেজতল লাল বাদামি। চোখের বলয় বাদামি। ঠোঁট উপরের অংশ স্লেট কালো, নিচের অংশ হলদে। পা ত্বক-গোলাপি। স্ত্রী পাখি দেখতে পুরুষের মতো হুবহু হলেও রঙে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। ওদের মাথা, ঘাড়, পিঠ ধূসর। গলা হালকা বাদামি।

প্রধান খাবারঃ কেঁচো, পোকামাকড়, ছোট ফল ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম মে থেকে জুলাই।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।