
বাংলাদেশে হেমন্তে দেখা মেলে কালো লালগির্দি । বৈশ্বিক বিস্তৃতি দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব-মধ্য চীন, গ্রেট ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা। প্রাকৃতিক আবাসস্থল পাথুরে পর্বতমালা। দেখা মেলে নাতিশীতোষ্ণ বনাঞ্চলেও। পুরুষ পাখি দেখতে মন্দ নয়। পুরুষের তুলনায় স্ত্রী পাখি খানিকটা নিষ্প্রভ। বিচরণ করে একাকী কিংবা জোড়ায়। স্বভাবে কিছুটা চঞ্চল হলেও হিংস নয়। সব সময় পয়ঃপরিষ্কার থাকতে পছন্দ করে। নিয়ম করে গোসল করে। সমগ্র বিশ্বে এদের অবস্থান তত সন্তোষজনক নয় বিধায় আইইউসিএন প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে।
পাখির বাংলা নামঃ কালো-লালগির্দি, ইংরেজি নামঃ ব্ল্যাক রেডস্টার্ট (Black Redstart), বৈজ্ঞানিক নামঃ Phoenicurus ochruros | এরা ‘কালাগির্দি’ নামেও পরিচিত।
আরো পড়ুন…
•সাদাডানা লালগির্দি
•সাদাটুপি লালগির্দি
•নীলচে লালগির্দি
•নীলকপালি গির্দি
প্রজাতিটি দৈর্ঘ্যে ১৩-১৪.৫ সেন্টিমিটার। প্রসারিত ডানা ২৩-২৫ সেন্টিমিটার। ওজন ১২-২০ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা ভিন্ন। পুরুষ পাখির মাথা, ঘাড় ও পিঠ অন্ধকার স্লেট ধূসর। ডানা কালচে ধূসর। গলা ও বুক কালো। কোমর ও লেজ কমলা-লাল। দেহতল কমলা-লাল। চোখ কালো। ঠোঁট ও পা কালো। স্ত্রী পাখির মাথা, ঘাড়, পিঠ ও দেহতল ধূসর-বাদামি। লেজ অপেক্ষাকৃত কম কমলা-লাল। বাদবাকি পুরুষের মতো। যুবাদের রং ভিন্ন।
প্রধান খাবারঃ পোকামাকড়, ছোট ফল, বীজ ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম মে থেকে আগস্ট। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বাসা কাপ আকৃতির। বাসা বাঁধার উপকরণ শুকনো ঘাস, সরু লতাপাতা, শৈবাল, চুল, পশম ইত্যাদি। ডিম পাড়ে ২-৬টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১২-১৩ দিন।
লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।