বুলবুলি | Red vented bulbul | Pycnonotus cafer

598
বুলবুলি
বুলবুলি | ছবি: উইকিপিডিয়া

বাড়িতে অসংখ্য বুলবুলি এর বিচরণ। ওরা ঘরে ঢুকে পড়ে নির্ভয়ে। খাবার-দাবার ঢেকে না রাখলে অনিষ্ট করে প্রচুর। নিরাপত্তা পেয়ে সাহস বেড়ে গেছে বহুগুণ, অবাদে চলাফেরা করে তাই। এরা শুধু আমার বাড়িরই নয়, দেশের যে কোনো বাড়ির আশপাশে থাকতে পছন্দ করে। বিশেষ করে মানুষের কাছাকাছি থাকাটা ওদের বেশি পছন্দ। মানুষকে ওরা বন্ধু ভাবে। বুলবুলি গায়ক পাখি। গান গায় ‘টিউ-টু-টুল’ সুরে। সুর শুনতে মন্দ নয়। স্বভাবে চঞ্চল। চেহারাটা রাগী রাগী হলেও ঝগড়াটে নয়। থাকে জোড়ায় জোড়ায়। বিচরণরত অবস্থায় ভাবের আদান-প্রদান করে।

পাখির বাংলা নামঃ বুলবুলি, ইংরেজি নামঃ রেড-ভেনটেড বুলবুল’ (Red-vented bulbul), বৈজ্ঞানিক নামঃ পিকনোনোটাস কাফের, (Pycnonotus cafer), গোত্রের নামঃ পিকনোনোটিদি । এরা বাংলা বুলবুলি নামেও পরিচিত।

আরো পড়ুন…
•কালো ধূসর বুলবুলি •হলুদাভ জলপাই বুলবুলি •সিপাহী বুলবুল
•কালোমাথা হলুদ বুলবুল •কালো বুলবুল

দেশে কয়েক প্রজাতির বুলবুলি দেখা যায়। তন্মধ্যে সিপাহি বুলবুলি, বুলবুলি, কালোঝুঁটি হলদে বুলবুলি বেশি নজরে পড়ে। লম্বায় ১৮-২০ সেন্টিমিটার। মাথায় কালো ঝুঁটি। গলা কালো। কানপট্টি গাঢ় বাদামি। ঘাড়, বুক কালচে বাদামি। ডানা পাটকিলে, মাছের আঁশের মতো দেখতে। তলপেট সাদাটে। লেজের তলা উজ্জ্বল লাল। লেজের ডগা পাটকিলে হলেও প্রান্তটা সাদা। পা ও ঠোঁট কালো। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম।

প্রধান খাবারঃ ফুলের মধু, ছোট ফল, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি। বাড়ির পাশে বিচরণকারী বুলবুলিরা ভাত খায়। প্রজনন সময় মে থেকে জুলাই। মাটি থেকে কয়েক মিটার উঁচুতে গাছের তে-ডালের ফাঁকে পেয়ালা আকৃতির বাসা বাঁধে। বাসা বানাতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে সরু শিকড়বাকড়। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটে ছানা বেরুতে সময় লাগে ১৪-১৫ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।