প্রায় ১০০ বছর পর দেখা মিলল বিরল এক পাখির, যার শরীরের অর্ধেক স্ত্রী আর অর্ধেক পুরুষ। চমকে দেওয়া এই পাখির নাম গ্রিন হানিক্রিপার । সম্প্রতি প্রাণিবিদদের গবেষণায় পাখিটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।
গবেষকদের একটি দলের দাবি, এই পাখি গত প্রায় ১০০ বছরেও দেখা যায়নি। তাঁরা আরও দাবি করেন, এটি একটি বিরল পাখি যার অর্ধেক স্ত্রী এবং অর্ধেক পুরুষ। এর শরীরের অর্ধেক সবুজ আবার অর্ধেক নীল রঙের।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে জন মরিল্লো নামের একজন অপেশাদার পাখি বিশেষজ্ঞ বিরল এই হানিক্রিপারকে দেখেন। নীল–সবুজ পালকের পাখিটির ছবি ধরা পড়ে তাঁর ক্যামেরায়। এরপর ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোর প্রাণীবিদ প্রফেসর হামিশ স্পেন্সার কলম্বিয়ায় ছুটি কাটানোর সময় এই অত্যন্ত বিরল পাখির প্রজাতি খুঁজে পান।
প্রফেসর স্পেন্সার বলেন, ‘অনেক পাখি পর্যবেক্ষক তাদের সারা জীবনেও পাখির কোনো প্রজাতির মধ্যে বাইলেটারাল জিনড্রোমরফ দেখতে পায় না। পাখিদের মধ্যে এটি অত্যন্ত বিরল। খুবই আকর্ষণীয় বিষয় এটি।’
বৈজ্ঞানিকভাবে বাইলেটারাল জাইনান্ড্রোমরফিক নামে পরিচিত পাখিটির স্ত্রী এবং পুরুষ লিঙ্গের উভয় বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। এই ধরনের পাখিদের দেহের একপাশে ফেনোটাইপিকভাবে পুরুষ, পুরুষের পালক এবং প্রজনন অঙ্গ দেখা যায়। অন্য পাশে পালক এবং প্রজনন অঙ্গসহ ফেনোটাইপিকভাবে স্ত্রী দেখায়। বিরল বৈশিষ্ট্যটি পাখির প্রাথমিক বিকাশের সময় একটি জেনেটিক অসঙ্গতির কারণে কোষগুলো স্ত্রী এবং পুরুষ উভয় বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে।
পাখিটি নিয়ে গবেষকদের অনুসন্ধানের বিশদ বিবরণ জার্নাল অব ফিল্ড অর্নিথোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে গ্রিন হানিক্রিপার ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রজাতির দ্বিতীয় নথিভুক্ত উদাহরণ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়।