সাদা কালো লাটোরা | Bar winged flycatcher shrike | Hemipus picatus

113
সাদা কালো লাটোরা
সাদা কালো লাটোরা | ছবি: ইন্টারনেট

সাদা কালো লাটোরা এর গায়ের রং জাতীয় পাখি দোয়েলের মতো সাদা-কালো। তবে দোয়েলের মতো অত গাট্টাগোট্টা নয়, স্লিম গড়নের। অনেকটাই সহেলী পাখির মতো দেখতে। আকার-আকৃতিও তদ্রুপ। সুদর্শন। মুখায়বটা রাগিরাগি মনে হলেও আসলে তত হিংস নয় এরা। দেশের স্থায়ী বাসিন্দা। নজরে পড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে, তবে কম।

বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ ছাড়া ভারত (সিমলা ও পূর্ব মনিপুর) নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, লাওস ও পূর্ব ইন্দোনেশিয়ায় পর্যন্ত। এ ছাড়া হিমালয় অঞ্চলে নজরে পড়ে। বিচরণ করে ঘাসবনে একাকি কিংবা দলবেঁধে। উড়ন্ত কীটপতঙ্গ শিকার করে। উড়ন্ত অবস্থায় দ্রুত বাঁক নিতে পারে। ডাকে ‘হুইর হুইরি বা টিসিট টিট্ টিট্’ সুরে। প্রজনন মৌসুমে হাঁকডাক বেড়ে যায়। প্রজাতিটি বিশ্বব্যাপী হুমকি নয়, স্থিতিশীল।

পাখির বাংলা নামঃ সাদা-কালো লাটোরা, ইংরেজি নামঃ বার-উংগেড ফ্লাইক্যাচার শ্রাইক (Bar-Winged Flycatcher Shrike), বৈজ্ঞানিক নামঃ Hemipus Picatus | এরা ‘ফিনফিনে’ নামেও পরিচিত।

আরো পড়ুন…
•তামাপিঠ লাটোরা
•পাতি বনলাটোরা
•বড় বনলাটোরা

প্রজাতিটি দৈর্ঘ্যে ১৪-১৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৮-৯ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারায় সামান্য তফাৎ রয়েছে। পুরুষ পাখির গলা-বুক-পেট সাদা। মাথা-পিঠ পালিশ কালো। ডানার প্রান্ত এবং লেজ কালো। চিবুক-গলা সাদা। বুকে সাদা-গোলাপি আভা। লেজতল সাদা। অপরদিকে স্ত্রী পাখির ক্ষেত্রে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। পুরুষ পাখির কালো রঙের জায়গাগুলোতে স্ত্রী পাখির কালচে-বাদামি রং। বাদবাকি একই রকম। উভয়ের ঠোঁট-চোখ-পা কালো।

প্রধান খাবারঃ কীটপতঙ্গ ও পোকামাকড়। প্রজনন মৌসুম মার্চ-মে। শ্রীলঙ্কায় ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট। এ ছাড়া অঞ্চলভেদে প্রজনন সময়ের হেরফের লক্ষ্য করা যায়। বাসা বাঁধে ১০-১২ মিটার উচ্চতায় গাছে। বাসা বানাতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে মাকড়সার জাল, চিকন লতা-শিকড় ইত্যাদি। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৪-১৫ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog