দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে গোলাপি তুলিকা। প্রাকৃতিক আবাসস্থল পাথুরে পাহাড়ি অঞ্চল। গাছ-গাছালির চেয়ে বেশির ভাগই পাথুরে এলাকায় বা পাহাড়ের কার্ণিশে দেখা যায়। সমতলেও বিচরণ রয়েছে। মায়াবী চেহারা। স্লিম গড়ন। সুদর্শন। লেজ খানিকটা লম্বা। স্বভাবে চঞ্চল। দ্রুত দৌঁড়াতে পারে। বিচরণ করে একাকী। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। যেখানে সেখানে দেখা মেলে না। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ ব্যতীত ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, চীন, মঙ্গোলিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান পর্যন্ত। বিশ্বে এদের অবস্থান সন্তোষজনক।
পাখির বাংলা নামঃ গোলাপি তুলিকা, ইংরেজি নামঃ রোজি পিপিট (Rosy pipit), বৈজ্ঞানিক নামঃ Anthus roseatus |
প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ১৫-১৬.৫ সেন্টিমিটার। ওজন ১৭-২৫ গ্রাম। স্ত্রী পাখির ওজন ২৮-৩১ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষের চেহারা অভিন্ন। কপাল থেকে তালু পর্যন্ত গোলাপি-সাদা টান। ঘাড়, পিঠ ও লেজ ধূসর জলপাই-কালো-সাদার সঙ্গে গোলাপি মিশ্রণ। ডানায় কালো টান। দেহতল গোলাপি, কালো ছিট। ঠোঁট গাঢ় বাদামি। পা ময়লা গোলাপি।
প্রধান খাবারঃ কীটপতঙ্গ, ঘাসবীজ ইত্যাদি। প্রজনন সময় আগস্ট-সেপ্টেম্বর। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বাসা বাঁধে নিজ বাসভূমে। বাসা বানায় শিলা বা মাটির ওপর সরু-নরম লতা বিছিয়ে। ডিমের সংখ্যা ২-৪টি। ফোটতে সময় লাগে ১২-১৩ দিন।
লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।