বালি নাকুটি | Sand Martin | Riparia riparia

98
বালি নাকুটি
বালি নাকুটি | ছবি: ইন্টারনেট

বালি নাকুটি ভারতীয় উপমহাদেশে শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে। দেখতে হুবহু ‘সাদামাটা নাকুটি’র মতো। তবে এদের চেহারায় সাদার উপস্থিতি কিছুটা কম। উভয় প্রজাতিরই চেহারা তত আকর্ষণীয় নয়। বিচরণ করে ঝাঁকে ঝাঁকে। বাসাও বাঁধে দলবদ্ধ হয়ে। টানেল আকৃতির বাসা বানায়। পাহাড়, নদ-নদীর পাড়ে মাটির খাড়া দেওয়ালে নিজেরা গর্ত খুঁড়ে ৩০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার টানেল বানিয়ে বাসা বাঁধে। কণ্ঠস্বর কর্কশ। দলের সবাই একসঙ্গে ধাতব কণ্ঠে ডাকতে থাকে। ডাক শুনলে দূর থেকে মনে হয় বুঝি ওরা ঝগড়ায় লিপ্ত। অস্থিরমতির পাখি। উড়ন্ত পতঙ্গ শিকার করে। সারাদিন বিরতিহীন ওড়াউড়ি করে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, পূর্বচীন, উত্তর এশিয়া, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত।

পাখির বাংলা নামঃ বালি নাকুটি, ইংরেজি নামঃ স্যান্ড মার্টিন (Sand Martin), বৈজ্ঞানিক নামঃ Riparia riparia |

আরো পড়ুন…
•খয়রাগলা নাকুটি •সাদামাটা নাকুটি

প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ১২ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষের চেহারা অভিন্ন। কপাল সাদাটে বাদামি। মাথা, ঘাড় ও পিঠ ধূসর বাদামি। ডানা ও লেজ কালচে বাদামি। লম্বা ডানা, লেজের শেষ প্রান্তে মিশেছে। উড়ন্ত অবস্থায় লেজ মাছের লেজের মতো দেখায়। গলা সাদা। বুক বাদামি সাদার মিশ্রণ। বুকের নিচ থেকে বাদবাকি সাদা। চোখ বাদামি। ঠোঁট খাটো, কালো। পা কালো, নখ বড় বড়।

প্রধান খাবারঃ উড়ন্ত পোকামাকড়। প্রজনন মৌসুম মে থেকে জুন। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। কলোনি টাইপ বাসা। গর্তে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৪-৫টি। ফোটে ১৩-১৪ দিনে। শাবক স্বাবলম্বী হতে সপ্তাহ তিনেক লেগে যায়।

লেখকঃ আলম শাইন। কথা সাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog