চিত্রা শালিক | Common starling | Sturnus vulgaris

312
চিত্রা শালিক
চিত্রা শালিক | ছবিঃ ইন্টারনেট

চিত্রা শালিক মূলত ইউরোপের পাখি। আমাদের দেশে খুব কমই দেখা যায়। শীতে মাঝে-মধ্যে দেখা যায় দেশের পাহাড়ি এলাকার বনজঙ্গলে কিংবা উপকূলীয় এলাকায়। দেখা যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপেও। এ ছাড়াও সুন্দরবনের দুবলারচরে সাক্ষাত্ মেলে দুই-চারটার। এরা এ দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১৯৮০ সালে প্রথম পাখি অনুসন্ধানী দলের নজরে পড়ে এ পাখি। তারপর থেকে ধীরে ধীরে পরিচিতি মেলে পাখি দেখিয়েদের কাছে। মূলত এদের বিচরণ ক্ষেত্র ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকাতেও দেখা যায় এ পাখি। এশিয়ার ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের কিছু অংশেও পাখি বাসা করে। এরা আমাদের দেশে বেশিরভাগই একাকী চলাফেরা করে। অন্যান্য দেশে বড় বড় দলে বিচরণ করতে দেখা যায়।

পাখিটার বাংলা নামঃ চিত্রা শালিক ইংরেজি নামঃ কমন স্টালিং, (Common starling), বৈজ্ঞানিক নামঃ Sturnus vulgaris | গোত্রের নামঃ ষ্টুরনিদি ।

আরো পড়ুন…
•গো শালিক •গোলাপি কাঠশালিক •চিতিপাক গোশালিক
•কালো ঝুঁটি শালিক •লাল চোখের কালো শালিক •বেগুনি পিঠ শালিক
•ঝুঁটি শালিক •ভাত শালিক •গাঙশালিক •কাঠ শালিক

লম্বায় এরা ১৯-২৩ সেন্টিমিটার। গায়ের বর্ণ ধাতব সবুজ ও বেগুনী। তার ওপর সাদা সাদা ফুটকি। তবে দেখতে কালচে মনে হয়। শীতকালে সমস্ত দেহ চিত্রিত দেখায়। গ্রীষ্মে স্ত্রী পাখির বর্ণ হলটে হয়। অপরদিকে পুরুষ পাখির বর্ণ হলদেটের পাশাপাশি নীলাভ-ধূসর দেখায়। ঠোঁটের গোড়াটা নীলাভ বাদবাকি হলদেটে। পা লালচে-বাদামি।

প্রধান খাবারঃ পোকামাকড়, শস্যদানা। তবে কেঁচো, শুয়োপোকা প্রিয়। এ ছাড়াও ফল-পাকুড় খেতে দেখা যায়। প্রজনন সময় বসন্ত থেকে গ্রীষ্মকাল। অঞ্চলভেদে প্রজনন সময়ের হেরফের হয়। বাসা বাঁঁধে গাছের কোটরে। ডিম পাড়ে ৪-৫টি। স্ত্রী-পুরুষ উভয়ে ডিমে তা দিলেও স্ত্রী পাখি বেশি সময় তা দেয়। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৩-১৫ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog