লালমাথা লেজকাটা টুনি | Chestnut Headed Tesia | Tesia castaneocoronata

123
লালমাথা লেজকাটা টুনি
লালমাথা লেজকাটা টুনি | ছবি: ইবার্ড

লালমাথা লেজকাটা টুনি পাখির প্রাকৃতিক আবাসস্থল শিলাময় বনভূমি। বাঁশবন খুব পছন্দ। দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। গোলগাল চেহারা। লেজ নেই বললেই চলে। শরীরের তুলনায় মাথা বেঢপ সাইজের। বিচরণ করে একাকি। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় দেখা যায়। অত্যন্ত অস্থিরমতি পাখি। কোথাও একদণ্ড বসে থাকার জো নেই। সারা দিন ওড়াউড়ি করে। গানও গায় ফাঁকে ফাঁকে। লতাগুল্মের ফাঁকফোকরে লাফিয়ে বেড়ায়। সেতাবহে অমন শিলাময় এলাকায় বিচরণ করে। খুব দ্রুত লাফিয়ে লাফিয়ে পোকামাকড় শিকার করে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন, লাওস, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড পর্যন্ত। বিশ্বব্যাপী এখনো হুমকিতে নয় এ পাখি।

পাখির বাংলা নামঃলালমাথা লেজকাটা টুনি | ইংরেজি নামঃ চেস্টনাট-হেডেড টেসিয়া, (Chestnut-headed tesia)| বৈজ্ঞানিক নামঃ Tesia castaneocoronata | এরা ‘খয়রামাথা টেসিয়া’ নামেও পরিচিত।

আরো পড়ুন…
•নীলটুনি •ধূসরাভবুক লেজকাটা টুনি •দাগযুক্ত টুনি
•সোনালি মাথা টুনি •কালচে বুক লেজকাটা টুনি •বামন লেজকাটা টুনি

এদের গড় দৈর্ঘ্য ৮-৯.৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৮-১০ গ্রাম। মাথা বাদামি লাল। ঘাড় ও পিঠ সবুজ জলপাই। ডানা ও লেজ গাঢ় সবুজ জলপাই। গলা হলুদ। গলার নিচ থেকে বস্তি প্রদেশ পর্যন্ত জলপাই হলুদ। চোখের চারপাশ লাল-বাদামি, কোণা সাদা। ঠোঁট ছোট, সোজা কালচে। চোখ বাদামি। লম্বা পা সবজেটে।

প্রধান খাবারঃ পোকামাকড়, শুককীট ও মাকড়সা। প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে জুলাই। শৈবাল, শ্যাওলা, শিকড়, তন্তুত্মত্মু দিয়ে বর্তুলাকার আকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৫টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৩-১৫দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog