কালোমাথা কাবাসি | Black headed Cuckooshrike | Coracina melanoptera

352
কালোমাথা কাবাসি
কালোমাথা কাবাসি | ছবি: ইবার্ড

কালোমাথা কাবাসি আবাসিক পাখি। চেহারা তত আকর্ষণীয় নয়। গড়ন ‘বেনেবউ’ প্রজাতির পাখিদের মতো। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত। প্রাকৃতিক আবাসস্থল আর্দ্র নিম্নভূমির বন, বাঁশ বন, ক্রান্তীয় আর্দ্র পার্বত্য বন, জলাশয়ের আশপাশের জঙ্গল। মূলত এরা বননির্ভর পাখি। গ্রামীণ বন থেকে শুরু করে নগর উদ্যানেও দেখা মেলে। তবে অবশ্য যত্রতত্র দেখা মেলে না। দেখা মেলে ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০০০ মিটার উঁচুতেও। একাকী কিংবা ছোট দলেও দেখা মেলে। শান্ত স্বভাবের পাখি। সুমধুর কণ্ঠস্বর। ঠোঁট প্রসারিত ধীরলয়ে করে ডাকাডাকি করে। প্রজাতিটি দেশে ভালো অবস্থানে রয়েছে, বিশ্বেও অবস্থান সন্তোষজনক।

পাখির বাংলা নামঃ কালোমাথা কাবাসি, ইংরেজি নামঃ ব্ল্যাক হেডেড কুক্কুশ্রাইক (Black headed Cuckooshrike), বৈজ্ঞানিক নামঃ Coracina melanoptera |

প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ১৯-২০ সেন্টিমিটার। ওজন ১৪-৩৬ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা ভিন্ন। পুরুষ পাখির মাথা, ঘাড়, গলা সেøট ধূসর। পিঠ ও লেজ গাঢ় ধূসর। লেজের নিচের দিকের পালক কালো-সাদা। ডানার প্রান্তপালক কালো। বুকের নিচ থেকে সাদাটে ধূসর। চোখ, ঠোঁট ও পা গাঢ় স্লেট কালো। অপরদিকে স্ত্রী পাখির মাথা, ঘাড়, পিঠ ও লেজ ধূসর। ডানার প্রান্ত পালকে সাদা-কালো দাগ। দেহতল কালো-সাদা ডোরা। ঠোঁট শিং কালো। বাদবাকি একই রকম।

প্রধান খাবারঃ পোকামাকড় ও ছোটফল। বিশেষ করে ডুমুর ফলের প্রতি আসক্তি লক্ষ্য করা যায়। প্রজনন মৌসুম জুন থেকে সেপ্টেম্বর। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩-৪ মিটার উঁচু বৃক্ষের ডালে বাসা বাঁধে। কাপ আকৃতির বাসা। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ফুটতে সময় লাগে ২০-২১ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।