নিরল প্রিনা | Plain Prinia | Prinia inornata

221
নিরল প্রিনা
নিরল প্রিনা | ছবি: ইন্টারনেট

নিরল প্রিনা দেশি প্রজাতির পাখি। মায়াবী চেহারা। স্লিম গড়ন। সুলভ দর্শন। দেখা মেলে দেশের গ্রামাঞ্চলে। বিশেষ করে খাল-বিলের পাশের জঙ্গলে বা ঘাসবনে ওদের বিচরণ খানিকটা বেশি। ঘাসবন এদের খুব পছন্দও। লম্বা ঘাসের ডগায় দোল খেতে দেখা যায় দিনভর। বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘাসবনে দোল খায়। স্বভাবে বেশ চঞ্চল। স্থিরতা এদের মাঝে খুবই কম। প্রজনন মৌসুমে ‘টিøলি…টিøলি’ সুরে গান গায়। সুর বেশ মধুর। শুনতে ইচ্ছে করে বারবার। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় থাকে। প্রজননের বাইরে ছোট দলে বিচরণ করে। সুযোগ পেলে দলবদ্ধ হয়ে কৃষকের ধান, কাউন, তিল, তিসি ক্ষেতে হানা দেয়। যা খায় তার চেয়ে বেশি নষ্ট করে। সুলভ দর্শনের এ পাখি ক্রমান্বয়ে যেন অসুলভ হয়ে পড়ছে গাঁয়ে। জোরগলায় বলতে পারি এটি ঘটছে শুধু খাবার সংকটের কারণেই। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে এরা ভালোই আছে।

পাখির বাংলা নামঃ নিরল প্রিনা, ইংরেজি নামঃ প্লেইন প্রিনা, (Plain Prinia), বৈজ্ঞানিক নামঃ Prinia inornata, গোত্রের নামঃ সিস্টিকোলিদি । অনেকে এদেরকে ‘সাধারণ বুনো টুনি’ নামে ডাকে।

আরো পড়ুন…
•সুন্দরী প্রিনা •লালতলা প্রিনা •মেটেবুক প্রিনা
•হলদেপেট প্রিনা •কালচে প্রিনা

এরা লম্বায় ১৩ সেন্টিমিটার (লেজ ৮ সেন্টিমিটার)। ঠোঁট তীক্ষ অগ্রভাগ কিঞ্চিৎ বাঁকানো। ঠোঁট বাদামি হলেও প্রজনন মৌসুমে বদলিয়ে কালো রং ধারণ করে। মাথা, ঘাড় ফিকে লালচে। চোখের সামনে সাদা ডোরা। মুখাবয়ব সর রঙের সাদাটে। পিঠ ও লেজ বালু-বাদামি মিশ্রিত। দেহের নিম্নাংশ ধূসর সাদা। পা ও পায়ের পাতা বাদামি হলুদাভ।

প্রধান খাবারঃ ছোট ঘাসবীজ, ধান, কাউন, তিল, তিসি ইত্যাদি। প্রজনন সময় এপ্রিল থেকে জুন। বাসা বাঁধে ঘাসবনে। ভূমি থেকে এক-দেড় মিটার উঁচুতে ঘাসপাতা পেঁচিয়ে মোচাকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৪টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১২-১৪ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog