বুট পা ঈগল | Booted Eagle | Hieraaetus pennatus

188
বুট পা ঈগল
বুট পা ঈগল | ছবি: ইন্টারনেট

বুট পা ঈগল বিরল দর্শন পরিযায়ী পাখি। কেবল ভরা শীতে দেশে দেখা যায়। তবে যত্রতত্র দেখা মেলে না। প্রাকৃতিক আবাসস্থল খোলা বনপ্রান্তর, পাবর্ত্য অঞ্চল। এ ছাড়া মরুভূমি কিংবা চারণভূমিতেও দেখা যায়। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ৩০০০ মিটার উঁচুতেও দেখা যায়। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল, উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউরোপ পর্যন্ত। শিকারী পাখি হলেও মাছ শিকারে আগ্রহ নেই। স্বভাবে হিংস। সরীসৃপ, ছোট পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণীর নাগাল পেলে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরা সাধারণত একাকী কিংবা জোড়ায় বিচরণ করে। প্রজাতিটি বিশ্বব্যাপী ভালো অবস্থানে নেই, হুমকির সম্মুখীন।

প্রজাতির বাংলা নামঃ বুট পা ঈগল, ইংরেজি নামঃ বুটেড ঈগল (Booted Eagle), বৈজ্ঞানিক নামঃ Hieraaetus pennatus | কারো কারো কাছে এরা ‘কাটুয়া চিল’ নামে পরিচিত।

আরো পড়ুন…
•ধলাপেট সিন্ধুঈগল •বৃহৎ ঈগল •বড় চিত্রা ঈগল •খয়েরি ঈগল
•বনেলি ঈগল •খাটো আঙ্গুল সাপঈগল •বাদামি ঈগল •মেটেমাথা কুরাঈগল
•লালপেট ঈগল •ধলালেজ ঈগল •ছোট চিত্রা ঈগল •কুড়া ঈগল

পুরুষ পাখির গড় দৈর্ঘ্য ৪৬-৫৩ সেন্টিমিটার। প্রসারিত ডানা ১১০-১৩৫ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন। প্রজাতির তিনটি বর্ণ। সাদাটে, কালচে ও বাদামি। তবে সবার কাঁধে সাদা ছোপ থাকে। দেহতল ক্রিম সাদার ওপর বাদামি খাড়া দাগ। ঊরু এবং পা যথাক্রমে সাদা, কালচে ও বাদামি পালকাবৃত। ওড়ার পালক কালচে। যুবাদের রং ভিন্ন। ঠোঁট শিং কালো, তীক্ষè, বড়শির মতো বাঁকনো। চোখ লালচে বাদামি। ঠোঁটের গোড়া এবং মুখের কিনার হলদে। পায়ের পাতা হলদে, নখ কালো।

প্রধান খাবারঃ ছোট পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপ। প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে জুন। কোথাও কোথাও সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। বাসা বাঁধে ৬-৩৫ মিটার উঁচু গাছের শাখে। বাসা বানাতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে চিকন ডালপালা। ডিম পাড়ে ১-২টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ৩৭-৪০ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog