বৃহৎ ঈগল | Eastern imperial eagle | Aquila heliaca

524
বৃহৎ ঈগল
বৃহৎ ঈগল | ছবি: ইন্টারনেট

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে বৃহৎ ঈগল। বিস্তৃতি রয়েছে মধ্য এশিয়া থেকে পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলেও। ঘন বনাঞ্চল এদের পছন্দ নয়। খোলা এলাকায়ই বিচরণের জন্য উপযুক্ত মনে করে। মাঠপ্রান্তরে উড়ে উড়ে শিকারের খোঁজ করে। বিচরণ করে একাকী কিংবা ছোট দলে। স্বভাবে হিংস্র। জলের ওপর ঝাঁপিয়ে শিকার ধরার চেয়ে ডাঙ্গার ওপরের শিকারের প্রতি মনোযোগী বেশি। বিশ্বে এদের অবস্থান তত সন্তোষজনক নয় বিধায় আইইউসিএন এদের লাল তালিকাভুক্ত করেছে।

এই পাখির বাংলা নামঃ বৃহৎ ঈগল, ইংরেজি নামঃ ইস্টার্ন ইম্পিরিয়েল ঈগল, (Eastern imperial eagleবৈজ্ঞানিক নামঃ Aquila heliaca । এরা ‘এশীয় শাহী ঈগল’ নামেও পরিচিত।

আরো পড়ুন…
•ধলাপেট সিন্ধুঈগল •বড় চিত্রা ঈগল •বুট পা ঈগল •খয়েরি ঈগল
•বনেলি ঈগল •খাটো আঙ্গুল সাপঈগল •বাদামি ঈগল •মেটেমাথা কুরাঈগল
•লালপেট ঈগল •ধলালেজ ঈগল •ছোট চিত্রা ঈগল •কুড়া ঈগল

দৈর্ঘ্য কমবেশি ৭২-৯০ সেন্টিমিটার। গড় ওজন ২.৪৫ থেকে ৪.৫৫ কেজি। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন। মাথার পেছনের পালক খোঁচা খোঁচা। দেহের সব পালক গাঢ় বাদামির সঙ্গে অসংখ্য সাদা ফুটকি। লেজ কালো। উড়ার পালক কালচে গাঢ় বাদামি। দেহতল গাঢ় বাদামির সঙ্গে কদম ফুলের মতো সাদা দাগ। ঠোঁট বড়শির মতো বাঁকানো, অগ্রভাগ কালো, বাদবাকি হলুদ। ঠোঁটের কিনারা হলুদ চামড়ায় আবৃত।

প্রধান খাবারঃ মাছ, ইঁদুর, সরীসৃপ ও ছোট পাখি। প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে এপ্রিল। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বিশাল আকৃতির বাসা; অগোছালো। উঁচু গাছের ওপর সরু ডালপালা বিছিয়ে বৃহৎ আকারের বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ৪১-৪৩ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog