রাজ শকুন | Red Headed Vulture | Sarcogyps calvus

154
রাজ শকুন
রাজ শকুন | ছবি: ইন্টারনেট

রাজ শকুন ভয়ঙ্কর দর্শন হতে পারে, তাই বলে তেড়ে এসে আক্রমণ করে না। বেশিরভাগই দলবদ্ধভাবে বিচরণ করে। যে কোনো ধরনের মৃতদেহ বিশেষ করে গবাদি কিংবা বন্যপশুর মৃতদেহের সন্ধান পেলেই হামলে পড়ে। মানুষের উপকার করে ময়লা-আবর্জনা কিংবা উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে। মানব বসতি আছে এমন এলাকার কাছাকাছি বসবাস করে। মূলত প্রাকৃতিক আবাসস্থল নিচুভূমির খোলা বন অথবা আংশিক গাছ-গাছালি আছে এমন জায়গায় বিচরণ করে। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২৫০০ মিটার উচ্চতায়ও দেখা যায়। দেশের স্থায়ী বাসিন্দা।

বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া, দক্ষিণ চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর পর্যন্ত। বিশ্বে এরা ভালো অবস্থানে নেই।

পাখির বাংলা নামঃ রাজ শকুন, ইংরেজি নামঃ রেড-হেডেড ভালচার (Red-headed Vulture), বৈজ্ঞানিক নামঃ Sarcogyps calvus |

আরো পড়ুন…
•শ্বেত শকুন •লম্বাঠোঁটি শকুন •হিমালয়ী গৃধিনী
•ইউরেশীয় গৃধিনী •লম্বা ঠোঁটি শকুন

দৈর্ঘ্য কমবেশি ৭৬-৮৬ সেন্টিমিটার। প্রসারিত ডানা ১৯৯-২২৯ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারায় সামান্য পার্থক্য রয়েছে। মাথা, ঘাড় ও গলা লাল কুঁচকানো চামড়ায় আবৃত। চামড়ার ওপরে সামান্য কালচে পশম রয়েছে। পিঠ নীলচে কালো। ডানা এবং লেজের পালক বাদামি কালো। গলা লম্বা সাপের মতো। গলা ও বুকে সাদা পালক। বুকের নিচ কালো। বড়শির মতো বাঁকানো ঠোঁট কালো, শক্ত মজবুত, গোড়া গোলাপি ত্বক বর্ণের। পা গোলাপি। যুবাদের রঙ ভিন্ন।

প্রধান খাবারঃ যে কোনো ধরনের মৃতদেহ বা উচ্ছিষ্ট খাবার। এ ছাড়া শামুক, পাখির ডিম, ছোট পাখি কিংবা সরীসৃপও খায়। প্রজনন মৌসুম ডিসেম্বর থেকে সেপ্টেম্বর। বাসা বাঁধে উঁচু গাছের মাথায় সরু লাঠি দিয়ে। ডিম পাড়ে ১টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ৫৫-৫৮ দিনের মতো।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog