লাল নুড়িবাটান | Ruddy turnstone | Arenaria interpres

224
লাল নুড়িবাটান
লাল নুড়িবাটান | ছবিঃ ইন্টারনেট

লাল নুড়িবাটান পান্থ-পরিযায়ী পাখি। আমাদের দেশে আসে নভেম্বরের দিকে। বিদায় নেয় মার্চের মধ্যেই। বাটান পরিবারের পাখিদের মধ্যে এরা মাঝারি আকৃতির। উপকূলীয় এলাকার জলাশয় বা নদ-নদীর বালুকাময় সৈকতে দেখা যায় এদেরকে। জলের ধার ঘেঁষে দ্রুত হেঁটে খাবার খুঁজে চলে। কীট-পতঙ্গ প্রধান খাবার। নুড়ি পাথর কিংবা মাটির ঢেলা সরিয়ে কীট-পতঙ্গ খুঁজে বের করে। তাই এদের নামকরণের সঙ্গে ‘নুড়ি’ শব্দটি যুক্ত হয়েছে। সুর সুমধুর নয়। ডাকে ‘টুক-টুকাটুক’ শব্দে। অপেক্ষাকৃত ছোট দলে বিচরণ করে।

পাখির বাংলা নামঃ লাল নুড়িবাটান, ইংরেজি নামঃ রাড্ডি টার্ন স্টোন, (Ruddy turnstone) | বৈজ্ঞানিক নামঃ Arenaria interpres | গোত্রের নামঃ স্কোলোপাসিডি | এরা পীত পাথরে বাটান বা পাথর-ঘুরানি বাটান নামেও পরিচিত।

আরো পড়ুন…
•শুক্তিভোজী বাটান •কাদা বাটান •পদ্মবাটান •কাঁকড়াভোজী বাটান
•কালোবুক বাটান •ছোট বাবুইবাটান •গুলিন্দা বাটান •পাতি বাটান

লম্বায় ২২-২৪ সেন্টিমিটার। ঠোঁট কালো, খাটো ও শক্ত। প্রজনন মৌসুমে গায়ের রঙ বদলায়। এ সময় মাথা, গলা, বুক সাদাটে দেখায়। এর ওপর উজ্জ্বল কালো ছোপ নজরে পড়ে। দেহের উপরাংশের পালকে পাটকিলের ওপর সাদা-কালো ছোপ। স্ত্রী পাখির রঙে হেরফের রয়েছে। এদের মাথার রঙ খানিকটা নিষ্প্রভ এবং সাদাটে ভাবটা কম। প্রজনন মৌসুমের বাইরে স্ত্রী-পুরুষ পাখি উভয়ের দেহের উপরাংশের রঙ অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। এ সময় মাথার রঙ বদলে গাঢ় বাদামি রঙ ধারণ করে। পা খাটো, কমলা লাল। লেজ খাটো। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের রঙ অনেকটাই ফিকে।

প্রধান খাবারঃ ভূমিজ কীট-পতঙ্গ। এ ছাড়াও জলজ শেওলা খেয়ে থাকে। প্রজনন সময় মে থেকে আগস্ট। প্রজনন ভূমি উত্তর মহাসাগরের আশপাশ এলাকা। বাসা বাঁধে নূড়ি পাথরের ওপর ঘাস, লতা-পাতা বিছিয়ে। ডিম পাড়ে ২-৫টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ২২-২৪ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog