তারলেজা আবাবিল | Wire tailed Swallow | Hirundo smithii

321
তারলেজা আবাবিল
তারলেজা আবাবিল | ছবি: ইন্টারনেট

তারলেজা আবাবিল সুদর্শন স্লিম গড়নের। কণ্ঠস্বর সুমধুর। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন। তবে তুলনামূলকভাবে স্ত্রী পাখি খানিকটা খাটো। প্রকৃতিক আবাসস্থল নদ-নদী, জলাশয়, ধান খেত কিংবা অন্যান্য শস্য খেতের আশপাশ। জোড়ায় কিংবা ছোট দলে বিচরণ করে। অনেক সময় অন্য প্রজাতির আবাবিলের দলেও বিচরণ করতে দেখা যায়। পরিযায়ী হয়ে আসে। দেশে যত্রতত্র দেখার নজির নেই।

বাংলা নামঃ তারলেজা আবাবিল, ইংরেজি নামঃ ওয়্যার টেইল্ড সোয়ালো, (Wire-tailed Swallow), বৈজ্ঞানিক নামঃ Hirundo smithii |

আরো পড়ুন…
•লালকোমকর আবাবিল •নীলাভ গৃহবাসী আবাবিল •ডোরা আবাবিল
•ডোরাগলা আবাবিল •ধূসর আবাবিল •আবাবিল

বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, তাজাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, জিম্বাবুয়ে, সুদান, ইথিওপিয়া, মিসর, বুরুন্ডি ও দক্ষিণ অফ্রিকা পর্যন্ত। বিশ্বে এদের অবস্থান সন্তোষজনক নয়; ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত। এ প্রজাতির লেজসহ গড় দৈর্ঘ্য ১৪-২১ সেন্টিমিটার। ওজন ৯-১৭ গ্রাম। কপাল ও মাথা টুপি আকৃতির উজ্জ্বল বাদামি। ঘাড়, পিঠ ও ডানা চকচকে ইস্পাত নীল। ওড়ার পালক সাদা-নীল। কোমরে সাদা দাগ। চেরা লেজ, নীল। মূল লেজ খাটো। লেজের দুই পাশের প্রান্ত থেকে চিকন লম্বা তারের মতো দুটি লম্বা লেজ বেরিয়েছে। দেহতল সাদা। ঠোঁট খাটো কালো। পা কুচকুচে কালো।

প্রধান খাবারঃ মাছি ও কীটপতঙ্গ। প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বাসা বাঁধে পুরনো দর-দালানের কার্নিশে, মাটি দিয়ে। দেখতে দইয়ের পাতিলের মতো চ্যাপ্টা। ডিম পাড়ে ৩-৪টি। ফুটতে সময় লাগে ১৬-১৮ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথা সাহিত্যিক, কলাম লেখক, পাখি ও বন্যপ্রাণী বিশারদ এবং পরিবেশবিদ।