
ডোরাগলা আবাবিল শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে। মানব বসতির কাছিকাছি খোলা মাঠ-প্রান্তরে উড়ে বেড়ায়। উড়ন্ত অবস্থায় শিকার ধরে। ছোট-বড় দলে বিচরণ করে। দেখা যায় জোড়ায় কিংবা একাকীও। দেখতে হিংস মনে হতে পারে। আসলে নিরীহ প্রজাতির পাখি এরা। শুধু আক্রান্ত হলে আক্রমণ করে। স্বভাবে চঞ্চল। সারাদিন উড়ে বেড়াতে পছন্দ করে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, উত্তর-পূর্ব হিমালয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান পর্যন্ত। বিশ্বব্যাপী হুমকি না হলেও ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত।
পাখির বাংলা নামঃ ডোরাগলা আবাবিল, ইংরেজি নামঃ স্টিক থ্রোটেড সোয়ালো (Streak-throated Swallow), বৈজ্ঞানিক নামঃ Hirundo fluvicola । এরা ‘দাগিগলা আবাবিল’ নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন…
•লালকোমকর আবাবিল
•নীলাভ গৃহবাসী আবাবিল
•তারলেজা আবাবিল
•ডোরা আবাবিল
•ধূসর আবাবিল
•আবাবিল
প্রজাতিটি দৈর্ঘ্যে ১১-১২ সেন্টিমিটার। কপাল ও মাথা গাঢ় বাদামি। ঘাড়ে সাসা-কালো ডোরা দাগ। পিঠ গাঢ় নীল, মাঝে সাদা ডোরা। ডানা ও লেজ কালচে বাদামি। লেজের চেয়ে ডানা খানিকটা লম্বা। দেহতল ক্রিম সাদা। গলা ও বুকে কালো-সাদার মিশ্রণের সঙ্গে ডোরা দাগ। ঠোঁট খাটো কালো। পা কালো।
প্রধান খাবারঃ কীটপতঙ্গ। মাছির প্রতি আসক্তি লক্ষ করা যায়। প্রজনন মৌসুম জুলাই থেকে অক্টোবর। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বাসা বাঁধে পুরনো ঘর-দালানের ফাঁকফোকরে। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৬-১৮ দিন।
লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশারদ।