উদয়ী বামনরাঙা | Oriental Dwarf Kingfisher | Ceyx erithaca

192
উদয়ী বামনরাঙা
উদয়ী বামনরাঙা | ছবি: ইন্টারনেট

উদয়ী বামনরাঙা অনিয়মিত পরিযায়ী পাখি। গ্রীষ্মকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগের চিরসবুজ বনাঞ্চলে নজরে পড়ে। বিশেষ করে পাতাঝরা অথবা চিরসবুজ বনের গাছের ছায়াময় এবং অপেক্ষাকৃত সরু নদীর উপরে উড়ে বেড়ায়। অথবা চিরসবুজ বনাঞ্চলের ভেতর প্রবহমান নদ-নদীর ওপর গাছের ঝুলন্ত ডালে শিকারের প্রতীক্ষায় দীর্ঘসময় বসে থাকে। শিকার প্রাপ্তির বিলম্বে টেনশনে ঘন ঘন মাথা ওঠানামা করতে থাকে তখন। আবার শিকার প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখা দিলে লেজ খাড়া করে উচ্ছ্বাসও করতে দেখা যায়। বিচরণ করে একাকী। ওড়ার সময় তীক্ষ কণ্ঠে ‘চিচিচী…’ আওয়াজ করে। ‘উদয়ী বামনরাঙা’র বৈশ্বিক বিস্তৃতি ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লাওস, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রজাতিটি বিশ্বে বিপদগ্রস্ত। বাংলাদেশে অপ্রতুল-তথ্য শ্রেণীতে রয়েছে। তথাপিও বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

পাখির বাংলা নামঃ উদয়ী বামনরাঙা, ইংরেজি নামঃ ওরিয়েন্টাল ডয়ার্ফ কিংফিশার, (Oriental Dwarf Kingfisher), বৈজ্ঞানিক নামঃ Ceyx erithaca |

আরো পড়ুন…
•মেঘহও মাছরাঙা •মেঘহও মাছরাঙা •ঝুঁটিয়াল মাছরাঙা •কালোটুপি মাছরাঙা
•ব্লাইথের ছোট মাছরাঙা •ধলাগলা মাছরাঙা •নীলকান মাছরাঙা
•লাল মাছরাঙা •ছোট মাছরাঙা •পাকড়া মাছরাঙা

দৈর্ঘ্য ১৩ সেন্টিমিটার। মাথা ও ঘাড় কমলা-বেগুনি রঙের। পিঠ, ডানা নীলচে কালো। কোমর ও লেজ কমলা রঙের। গলা সাদা। পেট কমলা-হলুদ। চোখ গাঢ় লাল। চোখের ওপর দিয়ে সাদাটান ঘাড়ে গিয়ে ঠেকেছে। ঠোঁট প্রবাল লাল। পা ও পায়ের পাতা কমলা লাল। স্ত্রী-পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। অপ্রাপ্তবয়স্কদের চেহারা ভিন্ন। ওদের মাথা গাঢ় কমলা। দেহ অনুজ্জ্বল। বুকে কমলা ফোটা রং। দেহতল হালকা নীল।

প্রধান খাবারঃ ছোট মাছ, কাঁকড়া, ঝিঁঝিপোকাসহ অন্যান্য পোকামাকড়। প্রজনন মৌসুম জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর। নদীর খাড়া পাড়ে নিজেরা টানেল আকৃতির সুড়ঙ্গ বানিয়ে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৬টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৭-১৮ দিন।

লেখকঃ আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।

Worlds Largest Bangla Birds Blog