বড় বাজ শিকারি পাখি। সাংঘাতিক হিংস্র। কর্কশ কণ্ঠে ডেকে প্রতিপক্ষকে ভয় পাইয়ে দেয়। বিচরণ করে জোড়ায় জোড়ায়। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন হলেও যুবাদের রঙ ভিন্ন। পুরুষের তুলনায় আকারে স্ত্রী পাখি খানিকটা বড়। এরা পরিযায়ী পাখি।
পাখির বাংলা নামঃ বড় বাজ, ইংরেজি নামঃ নর্দান গোশক (Northern Goshawk), বৈজ্ঞানিক নামঃ Accipiter gentilis. এরা ‘উত্তরে গোদাশিকরে’ নামেও পরিচিত।
আরো পড়ুন…
•ছোট তুর্কী বাজ
•বেসরা বাজ
•তুরমুতি বাজ
•লম্বা পা বাজপাখি
•বাজপাখি
•সাদাচোখ বিশিষ্ট বাজ
•ছোট তুর্কী বাজ
•তিলা বাজ
•বড় বাজা
•আগুনে বাজপাখি
•পাতি শিকারি বাজ
শীতে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা মেলে। গ্রীষ্মে এদের বিস্তৃতি উত্তর আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপ অঞ্চলে। ভূপৃষ্ট থেকে ৩ হাজার মিটার উঁচুতেও এদের বিচরণ রয়েছে। পুরুষ পাখির দৈর্ঘ্য ৪৬-৬১ সেন্টিমিটার। স্ত্রী পাখি ৫৮-৬৯ সেন্টিমিটার। মাথা দারুচিনি বাদামী। ঘাড় ও পিঠ ধূসর বাদামী। ডানার প্রান্ত পালক গাঢ় বাদামী। লেজ ধূসর সাদা-গাঢ় বাদামী ডোরা। দেহতল ধূসর সাদার সঙ্গে বাদামী ছিট। চোখের বলয় হলদে। ঠোঁট কালো, গোড়া হলুদ, অগ্রভাগ বড়শির মতো বাঁকানো। তুলনামূলক পা খাটো, হলুদ। তবে ওদের সমস্ত দেহে নীলচে আভা পরিলক্ষিত হয়।
প্রধান খাবারঃ ছোট পাখি, সরীসৃপ, খরগোশ ও পোকামাকড়। প্রজনন মৌসুম গ্রীষ্মের শুরুতে। গাছের উঁচু ডালে বাসা বাঁধে। কাঁচা-শুকনো সব ধরনের মোটাসোটা ডালপালা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে। ডিম পাড়ে ২-৪টি। ফোটতে সময় লাগে ৩২-৩৮ দিন।
লেখকঃ আলম শাইন। কথা সাহিত্যিক, কলাম লেখক, পাখি ও বন্যপ্রাণী বিশারদ এবং পরিবেশবিদ।