লম্বাপা বাজপাখি বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, উত্তর ভারত, উত্তর মঙ্গোলিয়া, ইরান, তুরস্ক, দক্ষিণ রাশিয়া, বুলগেরিয়া, গ্রিস, নাইজেরিয়া, সেনেগাল ও মৌরিতানিয়া পর্যন্ত। এ ছাড়াও মিসর এবং চীন সীমান্ত এলাকায় বিচরণ রয়েছে। মূলত এরা মরুময় এলাকার পাখি। এতদাঞ্চলের পাথুরে পাহাড়ি এলাকায় বিচরণ রয়েছে। শিকারের সন্ধানে চাষাবাদ হয় এমন জমির ওপর চক্কর দিতে দেখা যায়। থাকে অনেক উঁচুতে। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় তিন হাজার মিটার উচ্চতায়ও এদের নজরে পড়ে। হাওয়ায় ভেসে বেড়াতে পছন্দ করে এরা।
পরিযায়ী পাখি। বাংলা নামঃ লম্বাপা বাজপাখি, ইংরেজি নামঃ লং-লেগেড বুজার্ড (Long-legged Buzzard), বৈজ্ঞানিক নামঃ Buteo rufinus | এরা ‘লম্বা-পা তিসাবাজ’ নামেও পরিচিত।
আরো পড়ুন…
•ছোট তুর্কী বাজ
•বেসরা বাজ
•বড় বাজ
•তুরমুতি বাজ
•বাজপাখি
•সাদাচোখ বিশিষ্ট বাজ
•ছোট তুর্কী বাজ
•তিলা বাজ
•বড় বাজা
•আগুনে বাজপাখি
•পাতি শিকারি বাজ
এ প্রজাতির বাজপাখি লম্বায় ৫০-৬৬ সেন্টিমিটার। প্রসারিত পাখা ১১৫-১৬০ সেন্টিমিটার। পুরুষের তুলনায় স্ত্রী পাখি সামান্য বড়। পুরুষ পাখির ওজন ১১০০ গ্রাম। স্ত্রী পাখির ওজন ১৩০০ গ্রাম। মাথা ও ঘাড় ফ্যাকাসে-কমলা। পিঠ, ডানা ও লেজ বাদামি-লাল। মাঝে মধ্যে গাঢ় বাদামি ছোপ। ডানার প্রান্ত পালক কালচে-বাদামি। দেহতল লালচে-বাদামি। বড়শির মতো বাঁকানো ঠোঁটের অগ্রভাগ কালো, গোড়া হলুদ রঙের। পা হলুদ। নখ কালো।
প্রাধান খাবারঃ সরীসৃপ, ছোট সাপ, ছোট পাখি পোকামাকড় ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে মে। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বাসা বাঁধে শিলা পাথুরে এলাকায়। বিশেষ করে পর্বতের কিনারে সামান্য সমান্তরাল জায়গা পেলে এরা বাসা বাঁধে। পুরনো দালান কিংবা উঁচু গাছের মাথায়ও বাসা বাঁধে। চিকন ডালপালা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে। ডিমের সংখ্যা ২-৩টি। কখনো কখনো ৩-৫টি ডিম পাড়ে। ডিম ফুটতে সময় লাগে ৩৩-৩৫ দিন।
লেখকঃ আলম শাইন। কথা সাহিত্যিক, কলাম লেখক, পাখি ও বন্যপ্রাণী বিশারদ এবং পরিবেশবিদ।