সাদাচোখ বিশিষ্ট বাজ আবাসিক পাখি। অঞ্চলভেদে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত। নজরে পড়ে খোলা মাঠ-বিল প্রান্তরে। তবে চাষাবাদ হয় এমন ক্ষেত-খামারের কাছাকাছি বেশি নজরে পড়ে। ফসলের ক্ষেতেও বিচরণ রয়েছে। বিচরণ করে একাকী কিংবা জোড়ায়। হিমালয়ের ১২০০ মিটার উচ্চতায়ও এদের সাক্ষাৎ মেলে। আকাশে উড়তে খুব পছন্দ করে। এরা শিকারি পাখি হলেও স্বভাবে তেমন হিংস নয়। প্রজাতির বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তান ও ইরান পর্যন্ত।
পাখিটির বাংলা নামঃ সাদাচোখ বিশিষ্ট বাজ, ইংরেজি নামঃ হোয়াইট-আইড বাজার্ড (White-eyed Buzzard), বৈজ্ঞানিক নামঃ Butastur teesa | এরা ‘ধলাচোখ তিসাবাজ’ নামেও পরিচিত।
আরো পড়ুন…
•ছোট তুর্কী বাজ
•বেসরা বাজ
•বড় বাজ
•তুরমুতি বাজ
•বাজপাখি
•সাদাচোখ বিশিষ্ট বাজ
•ছোট তুর্কী বাজ
•তিলা বাজ
•বড় বাজা
•আগুনে বাজপাখি
•পাতি শিকারি বাজ
প্রজাতি লম্বায় ৩৬-৪৩ সেন্টিমিটার। ওজন ৩২৫ গ্রাম। প্রসারিত পাখা ৮৬-১০০ সেন্টিমিটার। স্ত্রী পাখি সামান্য বড়। মাথা ও ঘাড় হলদে গাঢ় বাদামি। পিঠ, ডানা ও লেজ হলদে বাদামি। ডানার প্রান্ত পালক কালচে। গলা হলদে সাদা। বুক, পেট ও বস্তি প্রদেশ হলদে বাদামির ওপর হলদে সাদা ছিট। চোখের বলয় হলুদ। কালো মণির চার পাশে সাদা। বড়শির মতো বাঁকানো ঠোঁট হলুদ রঙের। ঠোঁটের অগ্রভাগ কালো। পা হলুদ। নখ কালো।
প্রধান খাবারঃ ইঁদুর, টিকটিকি, ছোট সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া, পোকামাকড় ইত্যাদি। মাছের প্রতি তেমন একটা আসক্তি নেই। প্রজনন মৌসুম ফেব্রুয়ারি থেকে জুন। গাছের উঁচু শিখরে সরু ডালপালা দিয়ে অগোছালো বাসা বাঁধে। বাসার তেমন শ্রীছাদ নেই। একই বাসায় ফি বছরও ডিম পাড়তে দেখা যায়। ডিমের সংখ্যা ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে প্রায় সপ্তাহ তিনেক।
লেখকঃ আলম শাইন। কথা সাহিত্যিক, কলাম লেখক, পাখি ও বন্যপ্রাণী বিশারদ এবং পরিবেশবিদ।